এর আগের দুই ম্যাচে সুযোগ হয়নি একাদশে। সাইড বেঞ্চে বসে দেখতে হয় বাংলাদেশের হার। তাই কিনা তৃতীয় ম্যাচে মাঠে নেমেই জ্বলে উঠলেন তিনি। ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে আফগানদের বেঁধে রাখলেন ১২৬ রানে। ফল হিসেবে পেলেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ৭ উইকেটের জয়ে হোয়াইটওয়াশ এড়িয়েছে বাংলাদেশ দল। ম্যাচে ৯ ওভারে মাত্র ২১ রান খরচে ৪ উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন শরিফুল।
এই এই বাঁহাতি পেসারের দুর্দান্ত বোলিংয়েই ৩ রানে দুই উইকেট হারায় আফগানিস্তান। সেই ধাক্কা আর সামাল দিতে পারেনি তারা। এমন দারুণ বোলিংয়ের পেছনে মুশফিকুর রহিমের অবদান আছে বলে জানান শরিফুল। সদাবিনয়ী শরিফুল ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে 'বড় ভাই' মুশফিকুর রহিমের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বললেন, 'দলের জন্য কিছু করতে পারলে সবার অবশ্যই ভালো লাগে। পুরো টিম সাপোর্ট করেছে। বিশেষ করে মুশফিক ভাই লাস্ট প্র্যাক্টিস থেকে বলতেছিল তুই ভালো করবি। তিনি আমাকে অনেক সাপোর্ট দিয়েছেন। '
এদিকে শরিফুলের এমন আগুনে বোলিং অবশ্য এবারই প্রথম নয়। দুই বছর আগে ২০২১ এর মে'তে মিরপুরে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে অভিষক হওয়ার পর হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে ৪৬ রানে ৪ উইকেট নেন তিনি। পরের বছর ২০২২ এ গায়ানায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩৪ রানে চার উইকেট নেন বাঁহাতি এ পেসার।
গতকাল ম্যাচ শেষে এই পেসার বলেন, 'এ পর্যন্ত আসতে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। আয়ারল্যান্ড ম্যাচের পর হাথুরুসিংহে ও ডোনাল্ড (বোলিং কোচ) কিছু কাজ দিয়েছিল এবং আমি সেগুলো করেছি। বোলিংয়ে ভালো জুটি হলে ছন্দটাও ঠিক থাকে। তাসকিন খুব ভালো বোলিং করেছে, যা আমার কাজটা সহজ করে দিয়েছে। '
এদিকে ম্যাচে আগ্রাসী ভাব দেখানো নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তর শরিফুল বলেন, অনুশীলনে যেমন বোলিং করতাম ম্যাচেও তেমন বোলিং করার চেষ্টা করেছি। বডি ল্যাঙ্গুয়েজটা আসলে চলে আসে। যতই ভাবি যে এরকম করা যাবে না, তারপরও চলে আসে।